
দিনাজপুরে জোড়া খুন মামলার মূল আসামি গ্রেফতার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় জমির দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় করা মামলায় মনিরুল ইসলাম (২৩) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা শহরের ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় দিনাজপুরে র্যাব-১৩-এর কোম্পানি অধিনায়কের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার মনিরুল ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার ২ নম্বর আসামি।
র্যাব জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঘোড়াঘাটের খোদাদাতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় করা মামলার পর থেকে প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। র্যাবের সদর দপ্তর ও র্যাব-১৪-এর সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গতকাল রাতে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার ঘাট এলাকা থেকে মনিরুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৩। আসামিকে দ্রুত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ২৫ জানুয়ারি ঘোড়াঘাটের খোদাদাতপুর গ্রামের বাসিন্দা হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন জমিতে সেচ দিতে গেলে প্রতিপক্ষ ওমর আলী, তাঁর স্ত্রী মোমেতা বেগম, বড় ছেলে মনিরুল ইসলাম ও ছোট ছেলে সামিরুল ইসলামের হামলায় দুজন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিন নিহত মনোয়ারের বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন মামলার আসামি ওমর আলী, স্ত্রী মোমেতা বেগম ও ছোট ছেলে সামিরুল ইসলামকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার পরদিন মামলার অন্যতম আসামি আজাহার আলীকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ঘটনার দিন থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।
জোড়া খুনের জেরে ২৬ জানুয়ারি দুপুরে নিহত দুজনের জানাজা শেষে খোদাদাতপুর গ্রামের কয়েক শ মানুষ ওই গ্রামের চুনিয়াপাড়ার ২৮টি বাড়ি ও বাড়ির সামনে ২৫টি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেন এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এ সময় হামলাকারীরা ওই সব বাড়ির গরু-ছাগল ও আসবাব লুট করেন।