সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোথাও কোনো আপডেট নেই, নেই আত্মপ্রচার, কোনো ছবি। অথচ সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর ‘সিক্রেট’ আর গোপনে রইল না। অন্তর্জালে বন্দি হলেন এক নেটিজেন পথিকের মুঠোফোনে। ছড়িয়ে গেল ইন্টারনেটে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বড়দিনের আমেজ যেন রাতের আলোয় ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পার্কস্ট্রিটে বড় দিনে সাধারণত তিল ধারণের জায়গা থাকে না। গভীর রাতে গড়িয়াহাটের ব্রিজের নিচের মানুষগুলো হাড়হিম ঠান্ডায় জুবুথুবু। চারচাকা থামল সেখানে। নেমে এলেন এক যুবতী। মুখে তার মাস্ক। বড়দিন মানেই উপহার দেওয়া ও উপহার পাওয়ার পালা। ক্রিসমাসের রাতে সান্তাক্লজ ছোটদের জন্য নিয়ে আসে উপহার। বাস্তব জীবনে কেউ কেউ নিজেই হয়ে ওঠেন সান্তাক্লজ।
হঠাৎ করে দেখলে চেনার উপায় নেই। ভিড়ের মধ্যে চিনতে পারলেন কেউ কেউ। চিনেই যেন চমকে উঠলেন– এ তো অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। গাড়ি ছুটল বালিগঞ্জ, কসবা, রাসবিহারী। রাতের কলকাতায় মিমি হয়ে উঠলেন সিক্রেট সান্টা। চুপিসাড়ে পথশিশুদের মাথার কাছে রেখে এলেন উপহার। তবে শুধু শিশু নয়, বড়দের জন্য উপহার ছিল নায়িকার ঝুলিতে। উপহারের মধ্যে ছিল কেক, কম্বল, চাদর, সোয়েটার। টালিউড অভিনেত্রীর এমন কাণ্ড দেখে প্রশংসা না করে পারছেন না ভক্তরা।
সৌভিক মন্ডল নামক জনৈক নেটিজেন এ ঘটনা নিজে চোখে দেখে ফেসবুকে লিখেছেন, গিয়েছিলাম তিলোত্তমার আলোকসজ্জায় মোড়া পার্কস্ট্রিট দেখতে। কিন্তু ফেরার সময় পেয়ে গেলাম গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে এক সিক্রেট সান্টাকে…’। মহানগরী বুকে নিত্যদিন ঘটে হাজারও ঘটনা। ঘটে মন খারাপের ঘটনাও। তবে এ সব ঘটনা নিত্যদিনের নয়। পার্কস্ট্রিটের হাজার বাতির আলো যেন আচমকাই রাঙিয়ে দিয়ে গেল গড়িয়াহাট ব্রিজের নিচের ওই অন্ধকার জায়গাগুলোকেও, সৌজন্যে মিমি চক্রবর্তী।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪