দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশই হাস্কিং মিল ও চাতাল বন্ধ রয়েছে। ধানের দাম বেশী হওয়ায় চালকল মালিকরা লোকসানের আশংকায় ধান কিনছে না। কাহারোল উপজেলার কৃষকেরা কার্তিক মাসের শেষ দিকে ও অগ্রহায়ন মাসের প্রথম থেকেই মোটা জাতের বিনা-৭, ব্রি ধান-৫১, স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণাসহ বিভিন্ন জাতের ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। হাট-বাজারে বেশী চড়া দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। চালের দামের তুলনায় ধানের দাম বেশী হওয়ায় মিল ও চাতাল মালিকেরা ধান কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
কাহারোল উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ৭০৬ মেঃ টন ও চাল ১৩৯৬ মেঃ টন। কাহারোল উপজেলায় প্রতি মণ স্বর্ণা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১শত টাকা, ব্রি-৫১ প্রতি মণ ১ হাজার ১শত থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা। বর্তমানে ধানের দাম বেশী হওয়ায় অনেক মিলাররা ব্যবসায়ে লাভ করতে না পারায় মিল বন্ধ করে দিচ্ছে। কাহারোল উপজেলার মিল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ধান কিনতে হয় আমাদের। ধান কেনা, লেভার বিল, ভাঙ্গানোর খরচ ও বস্তার দাম মিলে আমাদের যে টাকা খরচ হয় সেই হিসেবে চাল বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না।
উপজেলার মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, ধানের দামের তুলনায় চালের দাম বেশী হলে তবে ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। হাস্কিং মিল মালিক আব্দুল লতিফ জানান,চাহিদাদের তুলনায় জোগান কম। অটো মিলারদের অধিক ধান ক্রয়ের ফলে হাস্কিং মিলের মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। পাশাপাশি যেসব ব্যবসায়ীদের পুজি কম তারা বাইরে থেকে ধান কিনতে পারছে না।
আমাদের ফেইসবুক Link: ট্রাস্টনিউজ২৪