
চীন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে সতর্ক করে ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায়’ বিশ্বাসী দেশগুলোকে কর্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে একত্রে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর চীন নিজেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখতে চাইলেও একই সাথে মস্কোর সাথে সম্পর্ক গভীর করেছে এবং দেশটির আগ্রাসনের নিন্দা করেনি।
শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে বক্তৃতাকালে স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো ‘চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বর্ধিত এবং শক্তিশালী সম্পর্ককে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যখন স্বৈরাচারী শক্তিগুলো কাছাকাছি আসছে এবং আরো ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করছে, তখন এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যারা গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি তাদের সকলের ন্যাটোতে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের অংশীদারদের সাথে একত্রে দাঁড়ানো।’
স্টলটেনবার্গ বলেন, বেইজিং ইউক্রেনের যুদ্ধ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হলে এটি বেইজিংয়ের হিসাব-নিকাশ ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে ভয় জাগিয়েছে যে চীন তাইওয়ানে অনুরূপ কিছু চেষ্টা করতে পারে। তাইওয়ান হচ্ছে স্বায়ত্বশাসিত একটি গণতান্ত্রিক দ্বীপ যা বেইজিং তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে।
শুক্রবার শুরু হওয়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সহ বিশ্ব নেতারা অংশ নিচ্ছেন।