চাচার নাম ফকির মো. আমিরুদ্দিন, বাসা চরুগাঁও, সিলেট সদর। চাচার বাড়িতে পানি উঠেছে । তবে এখন কিছুটা কমছে । পানি কমলেও এখনো ঘরে হাঁটুপানি।
চাচার বাড়িতে আছে, ছেলে-মেয়ে আর নাতি-নাতনি। তারা ঠিকভাবে খেতে পারছেন না ।
ভয়াবহ এ রকম বন্যা সম্পর্কে তিনি বললেন, এই বন্যা খুবই ভয়াবহ। এর আগে ২০০৪ সালে বন্যা হয়েছিল, কিন্তু এত পানি হয়নি। আমার ৯২ বছর বয়সে দেখা এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। আর আমাদের এখানে কোনো খাবার-দাবার নিয়ে কেউ আসেনি। চিড়া-মুড়ি খেয়ে আছি। জনপ্রতিনিধিদেরও কোনো দেখা পাই না। প্রশাসনের লোকজন শুধু আইসা দেইখা গেছে, পুলিশও আইছিল, কিন্তু কোনো ত্রাণ দেয়নি কেউ।
একই এলাকায় কথা হয় ৭০ বছর বয়সী সমীর উদ্দিনের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৭০ চলে। ’ নিজের বাড়ির দিকে ইশারা করে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে কোনো দিন পানি ওঠেনি। আজ সেই বাড়িতে হাঁটুপানি। আমি কোনো দিন এমন ভয়াবহ বন্যা দেখিনি। ’ তিনি বলেন, বিপদের সময় কেউ আসে না। সবাই দূরে দূরে থাকে। আজ চার দিন হলো কেউ এক বোতল পানি পর্যন্ত দিল না।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪