দেশি পিঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৬ মার্চ সরকার পণ্যটির আমদানি বন্ধ করে দেয়। আমদানি বন্ধের দিন বাজারে পিঁয়াজের খুচরা মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
রোজার মাসেও মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তখন প্রতি কেজি পিঁয়াজের বিক্রয়মূল্য ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। সেই পিঁয়াজ গতকাল ভোক্তাকে কিনতে হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি বন্ধের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০৭ শতাংশ, যা দ্বিগুণেরও বেশি। শুধু তাই নয়, গত দুই দিনে কেজিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা।
নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১ কেজি দেশি পিঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে পিঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন কম হয়েছে।
দেশি পিঁয়াজের বাজার দরও কম ছিল। এর ফলে উৎপাদন কিছুটা কমেছে। তবে এই উৎপাদন কমার বিষয়টিকে পিঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য বলছে, দেশে পিঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ মেট্রিক টন।
এ বছর দেশে উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। ফলে সব মিলিয়ে পিঁয়াজের যে মজুদ রয়েছে তা বার্ষিক চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও পণ্যটির দাম বেড়ে গত তিন মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। বৈঠকে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পিঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই; অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পিঁয়াজের বাজার মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগিরই আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আমাদের ফেসবুক লিঙ্কঃট্রাস্ট নিউজ ২৪