করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবার মাঠে নেমেছে র্যাব। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ মোবাইল কোর্টে মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তবে যাদের মাস্ক ছিল না বরাবরের মতোই তাদের ছিল উদ্ভট সব যুক্তি। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মোবাইল কোর্টের অভিযানে নামে র্যাব। এদিন মাস্ক ব্যবহার না করায় ১০০- ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।
করোনার হিসাবটা গত দুই সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কার যোগান দিচ্ছে। সচেতনতায় এবার মাঠে নেমেছে র্যাব। অভিযান চলাকালে মাস্ক না পরার যুক্তি কেউ বলছেন, অক্সিজেন নিতে মাক্স খুলেছি, কেউবা বলছেন দম বন্ধ লাগে। আর ভুলে বাসায় রেখে এসেছি, মাত্রই ফেলে দিলাম কিংবা হারিয়ে গেছে এমন অযুহাতই দিচ্ছেন অনেকেই। মোবাইল কোর্টে নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হলেও ছাড় পায়নি বাকিরা। জরিমানা করা হয় এক’শ থেকে তিন’শ টাকা।
অনেকেই বলছেন, জরিমানার টাকাটা একটু বেশি। তিন’শ টাকা সব সময় সবার কাছে নাও থাকতে পারে। তবে অভিযোগ থাকলেও এমন অভিযান কাজে দেবে বলে মত সাধারণের। তারা বলছেন, এতে করে সাধারণ মানুষের সচেতনতা একটু হলেও বাড়বে। করোনার ভয়ে না হলে র্যাবের ভয়ে অন্তত মাস্ক পরবে। এ ধাপের করোনা মোকাবিলায় এমন অভিযান চলমান থাকবে জানিয়েছে র্যাব। তারা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এখন এধরনের অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত মাস্কই ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। র্যাব আরও জানায়, এর পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।