
ভারতে তরুনিকে ধর্ষণ, টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন
ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের আদালত। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন। এছাড়া রায়ে আরও ৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ।
এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ জন আসামির মধ্যে আছেন ৩ জন নারী ।
৭ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া ছাড়াও একজনকে ২০ বছর ও আরেকজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত অন্য দুজনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য একজন খালাস পেয়েছেন। তিনি মামলার সাক্ষী ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশি।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, টিকটক হৃদয়, চাঁদ মিয়া ওরফে সবুজ, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন ওরফে রাফসান মণ্ডল, রকিবুল ইসলাম ওরফে সাগর, মোহাম্মদ আবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।
এ ছাড়া আসামি তানিয়া খানের ২০ বছরের জেল হয়েছে। অপরাধ সংঘটনে সহায়তা প্রদান ও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করার অপরাধে মোহাম্মদ জামাল নামের অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই জন নারী আসামি হলেন নুসরাত ও কাজল। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা জেনেও গোপন রাখার অপরাধে তাঁদের দুজনকেই ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৭ মে ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণী বেঙ্গালুরুতে নির্যাতন ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। এরপর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁদের সবাই বাংলাদেশ থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে অবৈধভাবে বাস করছিলেন।
অপরাধ সংঘটনের ২৮ দিনের মধ্যেই ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তিন মাসের মধ্যে বিচারকাজ শেষে গতকাল রায় দেওয়া হয়।
এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) ধারা ও ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন মামলা করা হয়।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪