দুপুরে পাড়ার সমবয়সী ছেলেদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নামে শিশু রাসেল ইসলাম (১১)। গোসল শেষে সবাই উঠে এলেও রাসেল নদীতে তলিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন নদী ও আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে বিকেলে নদীতে নামে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল। অভিযানের একপর্যায়ে নদীর একটি গভীর খাদ থেকে রাসেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের বারো পাইকারগড় ঘাটসংলগ্ন মাইলা নদী থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রাসেল ইসলাম সিংড়া ইউনিয়নের বারো পাইকারগড় গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। সে একই গ্রামের বিরাহীমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সোনা মিয়া মোল্লা বলেন, বেলা একটার দিকে গ্রামের ৮-১০ জন শিশু বারো পাইকারগড় ঘাটে মাইলা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় কেউ নদীতে গোসল করছিল, আবার কেউ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে খেলছিল। একসময় গোসল শেষে সবাই নদী থেকে উঠে বাড়িতে চলে যায়। রাসেল বাড়িতে না যাওয়ায় স্বজনেরা তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে জানতে পারেন রাসেল নদীতে সবার সঙ্গে গোসল করতে গিয়েছিল। পরে তাঁরা নদীতে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও না পেয়ে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। বিকেল চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযানে নদীতে নামে। পরে রাসেলের গোসলের স্থান থেকে প্রায় পাঁচ গজ দূরে একটি গভীর খাদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, নদীতে ডুবে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ। স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।