আমাদের দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের একটি নিয়মিত আয়োজন হলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা । তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলার বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেখা মিলবে ভিন্নরকম চিত্রের। এসব বিদ্যালয়ে দেখা যাবে মেয়েরা খেলছে ফুটবল, ক্রিকেট, সাইকেল রেইস, হাডুডু, মোরগ লড়াই ইত্যাদি।
বিপরীতে ছেলেদের জন্য রয়েছে সুই-সুতা, বালিশের কভার পরানো, কাপড় গোছানো, দাড়িয়া বান্ধার মত খেলাগুলো। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সমাজের প্রচলিত চর্চা ভেঙে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা বিধানের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যাতিক্রমী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলোর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাথে সমন্বয় করে আয়োজন করা হয় এই ব্যতিক্রমী ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলো।
রংপুর ও নীলফামারীর সাতটি উপজেলার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজন করে থাকে জানো, যার অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সহ-অর্থায়নে আছে অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন। কনসোর্টিয়াম গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)যেখানে কাজ করা হচ্ছে দুই জেলার ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রায় ৪ লাখ ২১ হাজার ৪২৫ জন কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে।
নীলফামারী জেলার শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে জানো প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে জেন্ডার সমতা আনয়ন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে।