ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে গোটা লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন যাত্রী।
তিনি আরও জানান, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলো তবে আগুনে ১০০ জনের মতো দগ্ধ হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান ওই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।
আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
জানা গেছে, ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে । রাত ৩টা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল।
বিদেশফেরত এই যাত্রী বলেন, পোড়া গন্ধ পেয়ে আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী, শ্যালক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি। লঞ্চ ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে থেমেছে। তবে এটুকু বলছি, লঞ্চের কোনো অংশ পোড়ার বাকি নেই।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪