করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের আশঙ্কায় গেল ১০ বছরের মতো এবার জাতীয় আয়কর মেলা আয়োজন করছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এর বিকল্প হিসাবে অধিকাংশ কর অঞ্চল, নিজস্ব অফিস প্রাঙ্গণে মেলার পরিবেশেই আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও কর সেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। কিন্তু প্রচার প্রচারণা না থাকায় সার্কেল অফিসে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন করদাতারা। এক জায়গায় সব সেবা পাওয়ায় ২০১০ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা পায় জাতীয় আয়কর মেলা। তবে, এবার মহামারি করোনার কারণে ছেদ পড়লো এই আয়োজনের। এর মধ্যেও করদাতাদের নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল নিশ্চিতে সারাদেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ ও কর সেবা দেয়ার নিদের্শনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
১ নভেম্বর থেকে অনেক কর অঞ্চল বুথ সাজিয়ে রিটার্ন জমা নেয়া শুরু করলেও এ বিষয়ে জানেন না অধিকাংশ করদাতা। এজন্য রিটার্ন জমা দিতে আসা অনেকে অনেক জায়গা ঘুরে তারপর জানতে পারছেন ছোট পরিসরের এই আয়োজন ও সেবা সম্পর্কে। একইসঙ্গে সব সেবা না থাকায় অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া, কর অফিসে হয়রানির অভিযোগ করে মেলা আয়োজনের দাবি জানান অনেকে। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেবা না থাকায় বেশ অসুবিধার কথা জানান তারা।
যদিও কর পরামর্শ প্রদানসহ রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের সবোর্চ্চ সেবা দেয়ার কথা বলছেন কর্মকর্তারা। করোনাকালেও সার্বক্ষণিক করদাতাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ঢাকা কর অঞ্চল-৪’র অতিরিক্ত কর কমিশনার ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির। গেল বছর মোট ২২ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন। করোনার কারণে অনেকের আয় কমে যাওয়ায় এ বছর রিটার্ন জমা কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা জরিমানা ছাড়া রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।