
তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১ হাজার ৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই ভূমিকম্পে উভয় দেশে কয়েকশ ভবন ধসে পড়েছে। এতে আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। এখনও অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার ভোরে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ২০টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৬। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প আশপাশের দেশগুলোতে, বিশেষ করে লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরাইল, ইতালিতে অনুভূত হয়েছে। বিবিসি বলছে, ইতালিতে প্রথমে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়। আশা করছি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুতই এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ তুরস্কের সঙ্গে আছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউক্রেনের জনগণ।’
অপরদিকে ইসরাইল সরকারও তুরস্ককে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, জরুরি সহায়তা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিগত ৮০ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে ।