
নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, নেভানোর চেষ্টায় আছেন ফায়ার সার্ভিস
গত শনিবার রাত ৯টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার বিএম কনটেইনারে বিষ্ফোরণ হয় । বিষ্ফোরণের পর এখন প্রায় ৬২ ঘণ্টা পার হয়েছে। তবুও এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে বর্তমানে ডিপোতে কয়টি কনটেইনার কি অবস্থায় আছে, কতটুকু জ্বলছে, অক্ষত আছে কিনা- এসব তথ্য জানতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সার্ভে কাজ শুরু করা হয়েছে।
কিন্তু আজ সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানানো হয়। আগুন নেভানোর প্রাণান্তকর চেষ্টায় আছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

জানা গেছে সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির বিষ্ফোরণটিতে ৪১ জন নিহত এবং ৩০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহাকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গতকাল রাতে আগুন জ্বলতে থাকা একটি কনটেইনারের দরজার তালা কাটা হয়েছে। কিন্তু আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দরজা বাঁকা হয়ে যাওয়ায় সেটি খোলা যাচ্ছিল না। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর দরজা খুলে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে ডিপোতে বর্তমানে কয়টি কনটেইনার আছে, কোনটির কি অবস্থা, আগুনে কতটি পুড়ে গেছে এসব তথ্য সংগ্রহে সার্ভে কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। আমি এখনও ডিপোর ভেতরে সার্ভে কাজ করছি।

জানা যায়, কনটেইনারের ভেতরে এখনো জ্বলছে আগুন। কিন্তু কনটেইনারের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কনটেইনারের তালা কেটে দরজা খোলার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে যে কনটেইনারগুলো জ্বলছে, ধারণা করা হচ্ছে সবকটিতে রপ্তানি পোশাক আছে। তবে রাসায়নিকের কনটেইনারগুলো আগুন লাগার স্থান থেকে সরানো হয়েছে। আগুন লাগা কনটেইনারের সংখ্যা কমে আসায় রাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যও কমিয়ে আনা হচ্ছে।
বিষ্ফোরণে আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৭ জন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ২৯ জন, নিউরো সার্জারি বিভাগে ২ জন, অর্থোপেডিক বিভাগে ৯ জন, সার্জারি বিভাগে ১১ জন, চক্ষু বিভাগে ১৩ জন এবং নাক কান গলা, মেডিসিন বিভাগ ও ইউরোলজি বিভাগে একজন করে ভর্তি আছেন ।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪