কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আবু বকর সিদ্দিক (৪৮) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম শাহিদা বেগম (৪০)। তিনি উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মাওলানা পাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে। এই ঘটনায় স্বামী আবুবকর সিদ্দিককে আটক করেছে পুলিশ। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন সময় নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ভোরের দিকে পুলিশ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবু সায়াদাত মো. বজলুর রহমান জানান, মাওলানাপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর কন্যা শাহিদা বেগমের সঙ্গে দুই যুগ আগে একই গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে আবু বকর সিদ্দিকের বিয়ে হয়। আবু বকর সিদ্দিক পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তাদের ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ চলে আসছে। এর জেরে কিছু দিন আগে শাহিদা বেগম তার ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আবু বকর সিদ্দিক শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এরপর ভোররাত ৩টার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে শাহিদাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় আবু বকর সিদ্দিক।
নিহত শাহিদার চাচা মহির উদ্দিন বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহিদা কিছু দিন থেকে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী সিদ্দিক ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সোমবার রাতেও আবু বকর সিদ্দিক শ্বশুর বাড়িতে আসেন। এরপর রাত ৩টার দিকে চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে তারা দেখেন খাটের ওপর শাহিদার গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।
এ অবস্থায় শাহিদাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকাইয়াপাড়া এলাকা থেকে ঘাতক আবু বকর সিদ্দিককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪