কেজিপ্রতি ৭ টাকা বাড়ানো না হলে সরকারের ঘরে চাল না দেয়ার ঘোষণা থেকে সরে এসেছে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের অনেক মিলার। এরইমধ্যে ৩৮৯ জন মিলার চাল সরবরাহের জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম কমলে অন্যরাও চুক্তিবদ্ধ হবেন বলে জানিয়েছেন চালকল মালিক সমিতির নেতারা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামনে রেখে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সবাই। ঠিক এমন সময় প্রতি কেজি চালে ৭ টাকা বাড়ানোর আল্টিমেটাম দিয়ে সরকারের ঘরে চাল সরবরাহের চুক্তি না করতে চালকল মালিক সমিতির ঘোষণায় অনেকটাই শঙ্কায় ফেলে চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানকে। এই পরিস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ পর্যন্ত রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের ৩৮৯ জন মিলার চুক্তি করেছে। এ বিষয়ে চালকল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, বাজারে ধানের দাম কমলে তারাও চুক্তিবদ্ধ হবেন।
শেষ পর্যন্ত বাকিরাও চুক্তিবদ্ধ হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে কিছু মিলার সরকারকে চাল সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি মিলাররা সরকারকে চাল সরবরাহ করবে বলে আশা করছি।
তবে কৃষক নেতারা বলছেন, সরকারের খাদ্য-সংগ্রহ অভিযানকে ব্যবসায়ীদের প্রভাবমুক্ত করা না গেলে কৃষকরা এর সুফল পাবে না। আমন মৌসুমে ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ২৬ টাকা কেজি দরে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে খাদ্য বিভাগ।
আমাদের ফেইসবুক Link: ট্রাস্টনিউজ২৪