মদনপুর খাদারের রোহিঙ্গা শিবিরে কিছুদিন আগেই আগুন লেগেছিল। দমকল গিয়ে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পের অধিবাসীদের বক্তব্য ছিল, বার বার তাদের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসন তখন সে কথা মানতে চায়নি। সম্প্রতি সেই ক্যাম্পের লাগোয়া উত্তর প্রদেশের সেচ দফতরের জমিতে তৈরি হওয়া শিবির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্যাম্পের ভিতর তৈরি করা একটি অস্থায়ী মসজিদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনের পর কয়েকশ’ নিখোঁজ ৯ হাজার ঘর ভস্মীভূত আগুনে রোহিঙ্গা শিবিরের ৯ হাজারেরও বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ৷৷ তবে সংখ্যাটা অনেক বেশি হতে পারে৷
উত্তরপ্রদেশ ইরিগেশন বিভাগ এই অপারেশন চালিয়েছে। তবে মসজিদ ভাঙার কথা প্রশাসন স্বীকার করেনি। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জেলা শাসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”কোনো মসজিদ ভাঙা হয়নি। মসজিদের মতো দেখতে কোনো কাঠামো সেখানে ছিল না। কেবলমাত্র টেন্টগুলিই ভাঙা হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, একটি টেন্টের ভিতরেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
জেলা শাসকের দাবি, উত্তরপ্রদেশের ইরিগেশন বিভাগের জমির উপর কোনো অনুমতি না নিয়েই ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। তাদেরকে সেখান থেকে তুলে নতুন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।
বস্তুত, উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে নানা আলোচনা করছিল। অভিযোগ, দিল্লি সরকারকে বার বার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও কোনো লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্নরের হস্তক্ষেপে গত মঙ্গলবার দিল্লি প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সমাজকর্মীদের বক্তব্য, ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার পরে অন্তত ১৬টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা রাস্তার ধারে বসবাস করতে শুরু করেছে। যার ফলে ট্র্যাফিকের সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান না হলে সমস্যা আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪