বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্দ্যোগে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে “অর্থনীতিতে নারী ও সিডও বাস্তবায়ন: পরিপেক্ষিতে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা” এই শ্লোগান নিয়ে অনলাইনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনলাইন সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফা বেগম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে কয়েকটি ধারা সংরক্ষণ রেখে সিডও সনদে স্বাক্ষর করে, তখন থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে কাজ করছে।
সিডও সনদ নারীর মৌলিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, যেখানে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি সমিতির নির্বাহী সদস্য হাবিবুল ইসলাম বাবুল।
বক্তারা আরও বলেন, সিডও সম্পর্কে অনেকে জানেন না। সিডও সম্পর্কে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচার করতে হবে। সিডও সনদের মূল কথা হলো উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারী যুগ যুগ ধরে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে তা যথাযথ স্বীকৃতি পান। বলা যায় মানুষের মৌলিক অধিকার ও মর্যাদার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা বিধানের গুরুত্ব এবং নারীর অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দানই হচ্ছে এই সনদের মূল উদ্দেশ্য। মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা বলি বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথাই বলি না কেন সব দিক দিয়েই সিডও সনদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী কারণ বিশ্বব্যাপী নারীর অবস্থান এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে এবং আমাদের সমাজের নারীরা প্রতিটি মুহুর্ত অতিক্রম করছে এক দূর্বিসহ অবস্থায়। সিডও সনদে পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে নারীর ক্ষমতায়ন। তাই নারীর মানবাধিকার আন্দোলনে শক্তিশালী হাতিয়ার সিডও সনদের ধারা ২ এবং ১৬-১(গ) থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার।
উক্ত অনলাইন আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, দিনাজপুর জেলা শাখার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক লিখিত প্রবন্ধ “সিডও সনদ ও বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পূর্ণ অনুমোদন প্রসঙ্গে ”পাঠ করেন সংস্কৃতি সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনতী ঘোষ, অর্চনা অধিকারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা সানু, অর্থ সম্পাদক রত্না মিত্র, লিগ্যাল এইড সম্পাদক জিন্নুরাইন পারু, আন্দোলন সম্পাদক গৌরী চক্রবর্তী, সমাজকল্যান সম্পাদক শাহানাজ পারভিন, পরিবেশ সম্পাদক মওদুদা বেগম, সদস্য রোকসানা বিলকিস প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আকতার।