“নগরীয় কর্মপন্থা প্রয়োগ করি কার্বনমুক্ত বিশ^ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলা গনপূর্ত বিভাগ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ^ বসতি দিবস-২০২১ পলিত হয়েছে।
গতকাল ৪ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক চত্ত্বরে বেলুন-ফেস্টুনউড়িয়ে বিশ^ বসতি দিবস-২০২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তিতে র্যালি বের হয় এবং জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ^ বসতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আধুনিক শিল্পায়ন ও কৃষিকরনের উপর নির্ভর করে আধুনিক বসতির অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে এই দিবসটি পালনের অর্থ হচ্ছে আমাদেরকে সচেতন করে গড়ে তুলা। আমরা বিশে^র মধ্যে ঘনবসতি দেশ। অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধে আধুনিক ও মানসম্মত পরিবেশ তৈরি করে পরিকল্পিত নগরায়ন সৃষ্টি করতে হবে ভবিষ্যৎতের জন্য। এই জন্য দরকার সুনির্দিষ্টভাবে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী। দিন দিন কার্বনডাই অক্সাইড মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রন করতে হবে পরিকল্পিত বসতি তৈরিতে।
দিনাজপুর গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কুতুব আল-হোসাইন এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম পিপিএম (বার), দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোর্শেদ মাহমুদ চৌধুরী।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন আতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা) এমদাদুল হক শরীফ প্রমুখ।
দিনাজপুর গনপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল শামস এর সঞ্চালনায় বিশ^ বসতি দিবসের আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্যে গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রতি বৎসরের ন্যায় বিশ^ বসতি দিবস-২০২১ পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই দিবসটি প্রতিটি জেলায় পালন করছি। পৃথিবীতে কার্বনিকের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তা আমাদের মাথায় রেখে পরিকল্পিত বসতি স্থাপন করতে হবে। এই জন্য দরকার রিডিইউজ, রি-সাইকেল, রি-ইউজ । আমাদের ভোগ কমাইতে হবে, যেমন পানি, বিদুৎ এর অপচয় বন্ধ করতে হবে অর্থাৎ রিডিইউজ। সম্পদের পুনরায় ব্যবহার অর্থাৎ বর্জের রি-সাইকেল আর একটি জিনিস একবার ব্যবহার করে ফেলে না দেয়া সর্বপরি পুনরায় ব্যবহার করা রি-ইউজ থাকতে হবে তাহলে আমরা আধুনিক মডেল শহর তৈরিতে সক্ষম হব।