বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার সকাল ১১টায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) একাডেমিক ভবন ১ এর প্রাঙ্গন হতে বেলুন- ফেস্টুন উড়িয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২১ এর সকল কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২১ এর উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি এর কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার ও কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. রওশন আরা, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির মৃত্তিকা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন খান। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৃত্তিকা বিভাগের প্রফেসর ড. শাহ্ মইনুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অনুষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের কৃষি ও পরিবেশের ওপর লবণাক্ত মাটির বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। মাটির অবক্ষয় কিভাবে সর্বোত্তম উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নির্ধারণের জন্য লবণাক্ত মাটি সম্পর্কে আরও বিশদ জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। টেকসই পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমি ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। সফল উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি মূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্যও ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। কৃষিতে আমাদের অগ্রগতি অভূতপূর্ব। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
উল্লেখ্য, উদ্ভিদের জন্ম-বৃদ্ধিতে ও মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০০২ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে এটি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়।