মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর ॥ ১০ অক্টোবর রোববার “স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ও খুরশীদ জাহান হক ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতাল এর দেশব্যাপী কর্মসূচীর উদ্যোগে দিনাজপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবসের এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়, সকাল ১১ টায় দিনাজপুরা কেয়ার নার্সিং কলেজ অডিটোরিয়াম হলে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি দিনাজপুর এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী। সেমিনারে দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শারমিন সাক্তার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক একেএম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল কবির, নির্বাহী সদস্য আবু তাহের আবু, আফতাব উদ্দিন মন্ডল, হাসপাতাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ সুধারঞ্জন রায় প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন হার্ট ফাউন্ডেশন এর সদস্য মোঃ রাহবার কবির পিয়াল। উক্ত স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবসটি যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে দিনাজপুরের বিভিন্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং মহিলা কলেজে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা লিফলেট বিতরণ এবং শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও প্রচারনা পত্র বিতরণ করা হয়।
সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল এর ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন স্তন ক্যান্সারের উপর বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন কওে বলেন, স্তন ক্যান্সার কি? শরীরের অন্যান্য স্থানের মতো স্তনে অস্বাভাবিক কোষ বাড়ার কারণে কোনো চাকা বা পিন্ডের সৃষ্টি হলে তাকে টিউমার বলে। শরীরের বিনা প্রয়োজনে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন থেকে এর সৃষ্টি। প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্তনে টিউমার দুই ধরনের। এক, বিনাইন টিউমার-এটা অক্ষতিকারক। উৎপত্তিস্থলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দূরের বা কাছের অন্য কোন অঙ্গপতঙ্গকে আক্রান্ত করে না। দুই- ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী, ক্ষতিকর। উৎপত্তিস্থলের সীমানা ছাড়িয়ে আশ পাশের অঙ্গ-প্রতঙ্গ কিংবা গ্রন্থি আক্রান্ত করে। এমনকি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দূরের কোন অঙ্গেও আঘাত হানতে পারে।