
মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর ॥ একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এডমিশন টেস্ট এক আতঙ্ক। কঠের পরিশ্রমের সকল চেষ্টার অবসান ঘটিয়ে অনেকেই কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। আবার কারও কারও এডমিশন সিজন কাটে স্বপ্নের মত।
ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে ২০২১-২২ সেশনে ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে তাহমিদ আল তৌফিক তার পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করলেন।
দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী নিবাসী রেফায়েত উল্লাহ এবং আতিয়া আফসানা বড় ছেলে তাহমিদ আল তৌফিক।
তৌফিক দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর ২০২১-২২ সেশনে ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।
মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবি এই ৩টি স্থানে দিনাজপুর থেকে এর আগেও অনেকে চান্স পেয়েছেন, তবে ঢাকা মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবিতে তৌফিকই প্রথম।
এই সাফল্যের পিছনে কার সহযোগিতা বেশি রয়েছে– জিজ্ঞেস করায় তৌফিক অত্যান্ত সহজ ভাষার উত্তরে জানান আমি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করি, তিনি আমার পড়া-লেখার প্রতি ইচ্ছাশক্তি ও প্ররিশ্রমের মানষিকতার কাজে দয়া করেছেন। সৃষ্টিকর্তার পর আমার পিতা-মাতার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ তাদের অক্লান্ত প্ররিশ্রম, সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণের কারনে আমার এই সফলতা। পিতা-মাতার পরে আমার শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা ছিল, আমার শিক্ষকগণ আমাকে পাঠ্য বই হতে সহজ ভাষায় পাঠদান করে আমার মস্তিস্কে লিপিবদ্ধ করতে সহায়তা করেছে।
তৌফিকের পিতা রেফায়েত উল্লাহ এর কাছে জিজ্ঞেস করা হয় ঢাকা মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবিতে এই প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠানে তৌফিক-কে পড়াবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তৌফিকের পিতা রেফায়েত উল্লাহ বলেন, এই বিষয়টি আমি আমার সন্তানের উপর ছেড়ে দিয়েছি আমার সন্তান যে প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে সেই প্রতিষ্ঠানেই তাকে পড়াশোনা করার সহযোগিতা করব। আমরা অভিভাবকেরা প্রায় সময় একটি ভুল সিদ্ধান্ত নেই, সে ভুল সিদ্ধান্তটি হচ্ছে সন্তানের পড়াশোনার প্রতি পিতা মাতা তাদের নিজের ইচ্ছাশক্তি চাপিয়ে দেয়া। পড়াশোনার জন্য বিশেষ করে সন্তানের ইচ্ছা শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে তারা যে প্রতিষ্ঠানে যে বিষয় নিয়ে পড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করে সেই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।