ট্যানারী মালিকদের নিকট ১০ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় ও অবিক্রিত লবণজাতকৃত প্রায় ৮০ হাজার চামড়ার বোঝা মাথায় রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছে দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের নেতারা। এছাড়া শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে কাচা চামড়াগুলো বিক্রিসহ ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া ১০ কোটি টাকা তুলে দেয়ার অনুরোধ জানান নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানান দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন। এ সময় তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসায় মহাসংকট চলছে। এই ব্যবসায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ট্যানারী মালিকগণ বিভিন্ন অজুহাত প্রদর্শন করে ও একেক সময় একেক কৌশল অবলম্বন করে জোটবদ্ধ হয়ে বাজারমুখী নিম্ন দর সৃষ্টি করে সাধারণ চামড়া ব্যবসায়ীদেরকে সর্বশান্ত করেছে। এর পরেও বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করছেন না তারা। তিনি বলেন, বর্তমানে চামড়া নিয়ে আমরা মহাবিপাকে পড়েছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ঈদুল আযহা’র রাতে চামড়ার বাজারে এসে আমরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় করেছি কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন জেলা প্রশাসন। কিন্তু গুদামজাতকৃত কাচা চামড়াগুলি এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছিনা। এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই চামড়াগুলি ফেলে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী দুই একদিনের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে কাচা চামড়াগুলো বিক্রিসহ ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া ১০ কোটি টাকা তুলে দেয়ার অনুরোধ জানান দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন।
সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের, সাবেক সভাপতি মোঃ সাদিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতার আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সদস্য মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ আবেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।