মোঃ নুর ইসলাম ।। দিনাজপুর সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১৫জুন মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২১ জুন সোমবার রাত ১২ টা পর্যন্ত লকডাউন-এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনের বিধি নিষেধ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে ১৩টি বিধি নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১/ বিধি নিষেধ চলাকালীন কোন প্রকার যানবাহন দিনাজপুর সদর উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং দিনাজপুর সদর থেকেও কোনো যানবাহন উপজেলার বাইরে যেতে পারবে না। উপজেলার ভিতর সকল প্রকার পরিবহন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, তবে রোগী পরিবহনকারী গাড়ি /অ্যাম্বুলেন্স, কৃষিপণ্য, খাদ্য সামগ্রী, জরুরী পণ্য বহণকারী ট্রাক এবং জরুরী সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। ২/ শপিংমল মার্কেট, রেস্টুরেন্ট ও সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট বন্ধ থাকবে, সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। ৩/ পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার সিনেমা হল ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ৪/ গণজমায়েত হয় এরূপ সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। ৫/ কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের (মুদিখানা) দোকানপাট কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ে প্রয়োজন ব্যতীত কেউ এসব স্থানে যেতে ও ঘোরাফেরা করতে পারবেনা। ৬/ সন্ধ্যা ৭টা হতে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, মৃতদেহ দাফন/ সৎকার ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। ৭/ জরুরী প্রয়োজনে মোটরসাইকেলে বের হলে চালক এর পিছনে কাউকে বহন করা যাবেনা। ৮/ শিল্প-কারখানাসহ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখবে তবে শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। ৯/ আইন শৃঙ্খলা ও জরুরী পরিসেবা যেমন কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্য দ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দরের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, সরকারি-বেসরকারি, গণমাধ্যম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, চিকিৎসাসেবা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ঔষধের দোকান এবং অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস সমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞা আওতা বহির্ভূত থাকবে। ১০/ সরকারি রাজস্ব আয়ের এর সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক পরিষেবা এই আদেশের আওতায় বহির্ভূত থাকবে। ১১/ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজ সহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে। ১২/ জরুরী প্রয়োজনে চলাচলের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। ১৩/ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সহ সরকার কর্তৃক জরুরী জারিকৃত অন্যান্য নির্দেশনামূলক এই বিধি-নিষেধের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
উপরোক্ত নির্দেশনা সমূহ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।