শখের বশে মরু অঞ্চলের দুম্বা পালন করে বানিজ্যিক খামার গড়ে তুলেছেন এবং খামার করে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। এইবারই প্রথম কোরবানীর হাটে এই দুম্বা বিক্রির জন্য উঠানো হবে। এরই মধ্যে দুম্বার খামারটি দেখতে দুর-দুরান্তের অনেকে আসেন।
করোনার এই সময়ে দিনাজপুরের কোরবানির হাটে দেখা যাবে দুম্বা। এই নিয়ে আশা বাদ ব্যক্ত করেন বোচাগঞ্জ উপজেলার ধান-চাল ব্যবসায়ী ও দুম্বা খামারের মালিক আব্দুল হান্নান। তিনি আশা করেন এক একটি দুম্বা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে।
শখের বশে চার বছর আগে ভারতের রাজস্থান থেকে ৬টি দুম্বা শাবক এনে আব্দুল হান্নান লালন পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে দুম্বার সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক। মরু অঞ্চলের প্রাণী দুম্বা সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে যে কোন দেশে, যে কোন জায়গায় খামার করে স্বাবলম্বি হওয়া সম্ভব। বোচাগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিল্পাঞ্চলের রামদাসপাড়ায় গড়ে ওঠা মেসার্স জহুরা ইন্ড্রাষ্ট্রিজের তত্বাবধানে দুম্বার খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
দুম্বা খামারী স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান জানান, তিনি শখের বশে মরু অঞ্চলের দুম্বাগুলো লালন পালন করেছেন। পরবর্তীতে এটির পরিধি বাড়িয়ে খামারে পরিণত করেছি। আসছে পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানীর হাটে এই খামারের দুম্বা বিক্রির জন্য ওঠানো হবে। ইচ্ছে করলে যে কেউ আমার খামারের দুম্বা কোরবানীর জন্য ক্রয় করতে পারবেন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস ছালাম জানান, মরু অঞ্চলের এসব প্রাণী যে কোন পরিবেশে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে লালন পালন করা যায়। অনেকেই এটাকে বাণিজ্যিকভাবে নিতে পারেন। বোচাগঞ্জের দুম্বার খামারটি অত্র এলাকার মানুষের কাছে একটি ব্যতিক্রমি খামার হিসেবে নজর কেড়েছে।