“জাঙ্কফুড, পথ খাওয়ার, খোলা খাওয়ার না খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৭ জুন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকার আয়োজনে এবং আজমীর ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় জাঙ্ক ফুড, পথ খাওয়ার, খোলা খাওয়ার প্রতিরোধ বিষয় এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ এজাজুল হক, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাইনুল ইসলাম, এফপিএবি’র জেলা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, দিনাজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, মহিলা কাউন্সিলর মাসতুরা পুতুল, কাউন্সিলর রেহাতুল ইসলাম খোকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আজমীর এন্টারন্যাশনাল ঢাকার প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক। সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, অধিকাংশ জাঙ্কফুড সুস্বাদু তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্কফুডকেই ফাস্টফুড বলা হয় কারণ এটি প্রস্তুত করা সহজ ও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। জাঙ্কফুড খাওয়ারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকায় মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে। হতাশার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে। খাওয়ারগুলোতে শর্করা এবং চিনি দাঁতের গহ্বরে হতে পারে। ভাজা পোড়া খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে যার কারণে দেহে কোলেস্টরেনের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যায়। ফলে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।