বাংলাদেশ পোষাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মোঃ ফারুক হাসান আর্ত মানবতার সেবায় বিত্ত বানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হত দরিদ্রদের অভাব অনটনকে মোকাবেলা করতে হলে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। ত্রাণ বা সাহায্যে নয় প্রতিটি মানুষকে কর্ম ক্ষমতায় স্বালম্বি করতে হবে। স্বাবলম্বি করতে হলে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি অত্র এলাকায় হত দরিদ্রদের কর্মক্ষমতায় আনতে একটি পোষাকের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ নেয়ার পর তাদের বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুযোগ সৃৃষ্টি হবে।
২০ ডিসেম্বর সোমবার দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় শ্রী শ্রী কান্তজীউ মন্দিরে সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফারুক হাসান এ সব কথা বলেন।
দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেট বিজিএমইএ‘র সভাপতি মোঃ ফারুক হাসান ও তার সহধমীনি শারমিন হাসান তিথিসহ তার পরিবারকে সংম্বর্ধনা প্রদান করেন। রাজ দেবোত্তর এস্টেটের সদস্য ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সংম্বর্ধনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজ দেবোত্তর এস্টেট রনজিৎ কুমার সিংহ, পূজা উদযাপন পরিষদের ও দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চু ও এস্টেটের সদস্য রতন সিং, দিমল কুমার দাস, গৌর চন্দ্র শীল প্রমুখ। সঞ্চালনে ছিলেন ডা: ডিসি রায়।
সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি মোঃ ফারুক হাসানে আবেগা অফ্লুতো হয়ে পড়েন। তিনি শ্রী শ্রী কান্তজীউ মন্দির সংস্কারের জন্য বিজিএমইএ‘র পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চেক অনুদান প্রদান করেন। পরে বিজিএমইএ‘র পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের মধ্যে আর্থিক সাহায্যে ও শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বিজিএমইএ‘র সভাপতির সাথে মতবিনিময় করেন।