২ শতক জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করে দিনাজপুর সদরের স্বরস্বতিপুর( দক্ষিন পাড়া) গ্রামের মো: আজাদ আলীর বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট ও ফলজ বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে সন্ত্রাসীরা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ জুন বুধবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগে লিখিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদরের ৯ নং আস্করপুর ইউপির স্বরস্বতিপুর(দক্ষিন পাড়া) গ্রামের মৃত হোসেন আহম্মেদ এর পুত্র মো: আজাদ আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গত ১১ জুন সকালে একই গ্রামের মো: মমতাজ আলী, মো: আফসার আলী, মো: মোস্তফা হোসেন, মো: জুয়েল হোসেন, মো: বাবলুর রহমান, মো: ইমরান আলী ,মো: নুর, মো: সাইফুল ইসলাম সহ আরো অন্যান্য ১৫/১৬ জন ধারালো হাসুয়া, কুড়াল, দা‘সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র¿ নিয়ে সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় তারা বাড়িঘরের ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট এবং জমিতে থাকা ৫০টি আম, লিচু, আমড়া, কাঠাল গাছ এবং কলা বাগানসহ অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ফলদবৃক্ষ কর্তন করেছে।
এছাড়া তারা ঘরে থাকা ১০ বস্তা চাল,আলু,পিয়াজ ও রসুনরে বস্তা,গরু,ছাগল,হাঁস-মুরগীসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই হামলায় তারা আমার আনুমানিক ৪ লাখা টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছে। বাড়ি ভাংচুর,লুটপাট ও বৃক্ষ কর্তণে সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে তারা আমার স্ত্রী শিরিনা বেগম, শ্যালকের স্ত্রী মোছা: সাবিনা বেগমকে লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। এব্যাপারে স্থানীয় বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া,সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের কাছে বিচ্র চাইলেও তারা বিচার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। স্থানীয় ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধেই সংবাদ পরিবেশন করেছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানা মামলা না নেয়ায় আমরা আদালতে মামলা করেছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসীদের অব্যাহত লাশগুমের হুমকিতে আজাদ আলী এবং তার বড়ভাইয়ের দুই পরিবারের সবাই এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় বসতবাড়ি ছেড়ে অনত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি এবং নিজ বসতবাড়িতে জীবনের নিরাপত্তাসহ বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিরিনা বেগম,আরমিনা বেগম,মোছা: তাসমিনা আক্তার ও মনিরা।