বিশ্ব পোলিও দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে রোটারী বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোলিও প্লাস কমিটির আহবানে রোটারী ক্লাব অব দিনাজপুর এর উদ্যোগে দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ অক্টোবর শনিবার সকালে শহরের খালপাড়াস্থ রোটারী সেন্টার থেকে র্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্লাব ভ্যানুতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
র্যালীর নেতৃত্ব ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন ক্লাব সেক্রেটারী রোটারিয়ান অধ্যাপক মোঃ ছায়েদ আলী, রোটারী ডিষ্ট্রিক্ট ডেপুটি গভর্ণর (২০২১-২০২২) রোটারিয়ান সৈয়দ মোঃ আব্দুস সাত্তার মুকুল, এডিশনাল ডি ট্রেইনার (রোটারী বাংলাদেশ-৩২৮১) ও পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান একেএম আব্দুস সালাম তুহিন, ক্লাব সদস্য ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ড বোর্ড মেম্বার (চেয়ারম্যান-মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ) রোটারিয়ান মোঃ শাহাদাৎ হোসেন খান, সাবেক প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ, সাবেক সেক্রেটারী রোটারিয়ান মোঃ মনির হোসেন, রোটারিয়ান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব হাবিপ্রবির প্রেসিডেন্ট রোটার্যাক্টর মোঃ ফাহিম আবরার, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব পার্বতীপুর এর প্রেসিডেন্ট রোটার্যাক্টর মোঃ তাহের আলী, সেক্রেটারী শফিউল্লাহ সরকার, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব দিনাজপুর (টার্মিনেট) এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফটো সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ আলী সহ রোটারী ক্লাব অব দিনাজপুর, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব হাবিপ্রবি ও পার্বতীপুরের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও র্যালীর পূর্বে ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোাটরিয়ান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর ক্লাবের ৪জন সদস্যকে রোটারী সম্বলিত লগো (ল্যাপেল পিন) পড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য ১২৫ দেশে তিন লাখ ৫০ হাজার শিশু যখন মরণব্যাধি পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত, ঠিক তখন ১৯৮৮ সালের ২৪ অক্টোবর আতঙ্কের সাথে দুনিয়াব্যাপী পালন হয় ‘বিশ্ব পোলিও দিবস’। রোটারি আন্তর্জাতিকের শ্রম, ঘাম, মেধা, বুদ্ধি আর অর্থ জোগানের প্রতিশ্রুতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিন্তে র্নির্ভয়েশুরু করে এই রোগ নির্মূল কর্মসূচি। প্রকৃতিতে স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ানো পোলিও ভাইরাস দ্বারা সারা পৃথিবীর শিশুরা যখন আক্রান্ত, তখন জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক ১৯৫২ সালে পোলিওর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে, ইউনিসেফ ও বিল গেটস অ্যান্ড মিলিন্দা ফাউন্ডেশনকে সাথে নিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে এই কাজ সমন্বিতভাবে শুরু করে রোটারি আন্তর্জাতিক আলবার্ট সাবিনের প্রস্তুতকৃত পোলিও টিকার ওপর ভর করে। ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ সালে ফিলিপাইনের ৫.৩ মিলিয়ন শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো শুরু করেছিল রোটারি আন্তর্জাতিক। তাদের নিবিড় কর্ম প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালের মধ্যে মহামারী আকার ধারণ করা এই রোগ দুই আমেরিকা থেকেই নির্মূল হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পোলিওমুক্তির সাফল্য অনেক বেশি গর্বের। ১৯৭৯ সাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করে সচেতন বাংলাদেশ। তবে পোলিও নির্মূলের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক টিকা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু করে ১৯৯৫ সাল থেকে।
সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে রোটারি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী কর্মকা-, নানা শ্রেণী ও সংগঠনের সম্পৃক্ততা, সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পোলিওমুক্তির সফলতায় বাংলাদেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যায়। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি জোরদারকরণ ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পোলিওমুক্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে সফলতার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করে বাংলাদেশ।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪