মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর ॥ “মারীয়া উঠে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রা করলেন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরে ৩৭ তম ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে-২০২২ অনুষ্ঠিত।
৩৭ তম ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে ২০২২ উপলক্ষে দিনাজপুরের সেন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথিড্রাল গীর্জা প্রাঙ্গণে ৪ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি মধ্য দিয়ে ৩৭ তম ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে পালন করছে খ্রীষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা।
এসকল কর্মসূচির মধ্যে ২৪ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে উপস্থিতি ও রেজিস্ট্রেশন বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, সন্ধ্যা ৬ টার পর রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত গীর্জা প্রাঙ্গণে প্রার্থনা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ মার্চ শুক্রবার কসবাস্থ সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার ক্যাথিড্রাল গীর্জা প্রাঙ্গন হতে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা ও দিনের অন্যান্য কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জেভার্স রোজারিও ডিডি। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ সুব্রত লরেন্স হাওলাদার সিএসসি।
অন্যান্য বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার কেরোবিন বাকলা, জাতীয় যুব সমন্বয়কারী ও নবনিযুক্ত নির্বাহি সচিব ফাদার বিকাশ জেমস রিবেরু সিএসসি, প্রাক্তন আহবায়ক ও জাতীয় যুব কমিশন ব্রাদার উজ্জ্বল পি পেরেরা, সাধু জোসেফ সংঘ প্রদেশের প্রদেশ পাল ব্রাদার সুবল রোজারিও সিএসসি, সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতাল দিনাজপুরের পরিচালক ফাদার মিখেলে ব্রাম্বিলা, শান্তি রানী সংঘ প্রদেশের সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার বিনা এসে রোজারিও সি আই সি, দিনাজপুর ক্যাথেড্রাল এর পালক-পুরোহিত ফাদার মাইকেল ডি’ ক্রুশ, সেন্ট ভিনসেন্ট নার্সিং ইনস্টিটিউট দিনাজপুর এর প্রিন্সিপাল সিস্টার ড. সুমনলা রোজারিও সিআইসি, সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ব্রাদার কাজল লিনুস কস্তা সিএসসি, ঢাকা খ্রিষ্টিয় ও যোগাযোগ কেন্দ্র এর পরিচালক ফাদার বুলবুল আগস্টিন রিবেরু, কারিতাস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিয়ান রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমস গমেজ, কারিতাস দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিচালক রঞ্জন জেপি রোজারিও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ দিনাজপুর এপি সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজ, এসবিসিএস দিনাজপুরের পালক প্রধান অরবিন্দ সরকার প্রমূখ।
৪ দিনব্যাপী ৩৭ তম ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে-২০২২ এর সকল কর্যক্রমে এর ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ, চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশ, খুলনা ধর্মপ্রদেশ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ, দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ, ও বরিশাল ধর্মপ্রদেশ বিশপ এবং প্রতিটি ধর্মের প্রদেশ থেকে ৪০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন।