মোঃ নুর ইসলাম ॥ দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ অপসারণের দাবিতে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জনকল্যাণ সংস্থার ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর সোমবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন পৌর পরিষদের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক কাউন্সিলরসহ ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের নারী পুরুষেরা। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে দূর্নীতি এবং অনিয়ম ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন তারা। মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে অবিলম্বে তাকে অপসারনের দাবি করেছেন আন্দোলনকারিরা।
অভিযোগের ফিরিস্তির মধ্যে বলা হয়েছে, পৌর মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে হাটবাজার ইজারার বকেয়া কোটি টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাজেট বর্হিভূতভাবে মেয়র ১৫ লাখ টাকা বিতরন করেছেন। ১৬২ জন সুইপার, মৌলভী পুরোহিত ডোম কেয়ারটেকার প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ী ভিত্তিতে (মাষ্টাররোলে) ২৪৮ জন খন্ডকালিন কর্মী নিয়োগসহ নানান অনিয়মে মেয়র জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক কাউন্সিলরদের ওই সংগঠনটির নেতারা। ২০১১ সাল থেকে গেল ১১ বছরের প্রায় এককভাবে মেয়রের হাতে ১৫১ কোটি টাকা দেখানো হলেও স্বচ্ছ হিসাব নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে পরিষদের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ জন কাউন্সিলর একত্রে বর্তমান মেয়রের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করলেও এর কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা আজবধি গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়াও দাতা সংস্থার দেয়া প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এলেও শর্তে পৌর বিদ্যু’ বিল পরিশোধ, হোল্ডিং টেক্স, পানির বিলসহ বিভিন্ন ট্যাক্স এর প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা আদায় না করার দায়ে উক্ত অর্থ ফেরত চলে যায়। এতে পৌরসভা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বক্তারা জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন পৌর পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল জুলফিকার আলী স্বপন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদুল ইসলাম মাসুদ,কাউন্সিলর জনকল্যান সংস্থার আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান নওশাদ, সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদের সদস্য ফয়সল হাবিব সুমন, সাবেক কাউন্সিলর মোস্তফা কামাল মুক্তি বাবু, সাবেক কাউন্সিলর রায়হান আলী খান তাজ, সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান, সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাবেক কমিশনার জাকির উদ্দিন রেমো, সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা খাতুন জ্যেস্না, সাবেক কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম লাইজু, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম,রেজউর রহমান রেজু,মো: জহির খান ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ের বোন বীনা কুমারী রায় পারুলসহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।