দিনাজপুরের বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব, জাতীয় নাট্য পদক প্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান শাহ্ স্মৃতি’র স্মরণে এবং নবীণ সংঘর আয়োজনে বিরল উপজেলার মকলেশপুর-জয়হার দক্ষিণপাড়া গ্রামে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী তিন দিন ব্যাপী গ্রামীন মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী, আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৮জানুয়ারী শনিবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সাদেক আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মরহুম শাহজাহান শাহ্’র কন্যা সিফাত-ই-জাহান শিউ।
স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে নবীণ সংঘের সদস্য মোঃ আকরাম আলী বলেন, আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য হচ্ছে এই শতবর্ষরের মেলা। ইতিপূর্বে মরহুম শাহজাহান শাহ্’র দাদা পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। প্রায় ৫০বছর ধরে শাহজাহান শাহ্’র পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ মেলা হলো গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ আনন্দের দিন। এ দিনকে সামনে রেখে গ্রামের মেয়ে-জামাইরা চলে আসে আনন্দ করতে। তারাই খেলা-ধুলায় অংশগ্রহন করে। প্রতিটি বাড়িতে চলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও ভালো ভালো রান্নার আয়োজন। বর্তমানে মরহুম শাহজাহান শাহ্’র কন্যা সিফাত-ই-জাহান শিউ এই মেলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে এগিয়ে এসেছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বিরল থানার এসআই মনোরঞ্জন রায়, সমাজ সেবক মোঃ সাদেক আলী ও মোহাম্মদ আলিমুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী ও নৃত্য সংগঠক রওনক আরা নিপা ও অবসরপ্রাপ্ত এনজিও ব্যাক্তিত্ব সুফিয়া বেগম।
প্রধান অতিথি সিফাত-ই-জাহান শিউ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় শতবছর ধরে এই গ্রামীণ মেলা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় যুবসমাজ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় একদিন এই মেলা জেলায় গ্রামীন মেলার মডেল হিসেবে গড়ে উঠবে। এই মেলার বিশেষ দিক হলো নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধায় করছেন আব্দুর রাজ্জাক।