
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এইচ.এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেছেন, এবার দিনাজপুর জেলায় ১২ জুন থেকে ১৫ জুন ৪দিনব্যাপী ৬ হতে ১২ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে মোট ৩৭৮২৩৫ জন শিশুকে। এজন্য স্থায়ী, অস্থায়ী কেন্দ্র ও অতিরিক্ত কেন্দ্র খোলা হবে মোট ২৬১৪টি। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের জন্য মাঠকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী, এফডাব্লিউএ ও স্বেচ্ছাসেবী ৬০৩২জন কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৮ জুন বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন দিনাজপুরের আয়োজনে জাতীয় পুষ্টি সেবা, পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২২ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সফল করতে মুখ্য আলোচ্যক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আরাজ উল্লাহ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ কাওসার আহম্মেদ আলোচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম। সাংবাদিকদের পক্ষে আলোচনা করেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ওয়াহেদুল আলম আর্টিস্ট, সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ ইছাম উদ্দিন। সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এইচ.এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তবে সেই শিশুকে ক্যাম্পেইন চলাকালীন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে পার্শপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই।