দিনাজপুরে সন্ত্রাসীর কু-পরামর্শে স্বার্থহাসিলের জন্য অন্যায়ভাবে পুলিশ হত্যা মামলায় নিরাপরাধ সন্তানের নাম অর্ন্তভুক্ত করেছে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় মা সাবিনা বেগম। এসময় তিনি নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবী করেন।
১০ এপ্রিল রবিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য্ েঅভিযোগ করে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন দিনাজপুর সদরের রানীগঞ্জ শেখহাটি গ্রামের অসহায় নব মুসলিম মা সাবিনা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন,এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মুশা ইব্রাহীমের কথামত আব্দুর রশীদ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এস আই সাইদুল ইসলাম কোনোরুপ তদন্ত না করেই পরস্পর নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যোশে আমার নিরাপরাধ সন্তান রিপনের নাম মামলায় এজাহারভুক্ত করেন। এজাহারটিও এসআই সাইদুল ইসলাম এবং সন্ত্রাসী মুশা ইব্রাহীম কোতয়ালী থানার পার্শ্বেই জনৈক্য টুটুল কম্পিউটার দোকানে বসে কম্পোজ করেছেন।
গত ১০ মার্চ/২২ ওই হত্যাকান্ডের দিন স্থানীয়রা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আশিকের বাড়ি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকে, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভের মুখে আশিককে আটক করে। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর ২ জন মো: রাশেদুল এবং উজ্জল রায়কে আসামী করে মামলা দায়ের প্রস্তুুতির সময় মুশা‘র ইন্ধনে রিপনকে ৪ নং আসামী হিসেবে এজাহারভুক্ত করা হয়, যা একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে একেবারেই অন্যায় করেছেন সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যে কোনো হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া জরুরী, তাই বলে নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ নয়। রিপনের নাম এজাহার হতে বাদ দিতে এবং ন্যায় বিচার পেতে এব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধিকে সনাক্ত করে হত্যা মামলার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যে ইতিমধ্যেই দিনাজপুর পুলিশ সুপার বরাবরে আমরা আবেদন জানিয়েছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা সাইদুল ইসলাম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুশা ইব্রাহীম নামে কাউকেই আমি চিনিনা। এ মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসামীকে ঘটনার দিনই আটক করা হয়েছে,অন্যদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধিদের আইনের আওতায় আনা হবে।