প্রশ্নবিদ্ধ গননার কারনে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে গেছে। দুটি প্যানেলের মধ্যে পরিবর্তনের পক্ষের দুলাল-ফারুক প্যানেল নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করে নিমতলাস্থ প্রেসক্লাব ভবন ত্যাগ করে যায়। মতিউর-রঞ্জু প্যানেলের মারমুখী আচরণে সাধারণ ভোটাররা প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের হৈ-হট্টগোলে কয়েক দফা ভোট গননা বন্ধও করা হয়।
গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দিনাজপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২-২০২৩ এর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করে। মোট ৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৩৮ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
পরে ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায়- ১০টি ব্যালটে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ ব্যালট পেপারে কোন বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না মর্মে ব্যালট পেপারেই উল্লেখ করা হয়েছিল। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন ভোটগুলো বাতিল মর্মে ব্যালটগুলো আলাদা করে। ওই অবস্থায় ভোট গণনা শুরু হয়। গণনায় মতিউর-রঞ্জু প্যানেল প্রত্যেকটি পদে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।
এরপর মতিউর-রঞ্জু প্যানেলের পৃষ্টপোষক আবু সাঈদ আহমেদ কুমার, প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী শাহিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রেজাউল করিম রঞ্জুর মারমূখী আচরনের কাছে নতি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন। তারা পৃথককৃত বাতিল ভোটগুলোও গননা করতে শুরু করলে দুলাল-ফারুক প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ ফারুক হোসেন কঠোর প্রতিবাদ জানান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি থমথমে খবর পেয়ে প্রেসক্লাবে পুলিশের একটি টীম অবস্থান নেয়। নজির বিহীন প্রশ্নবিদ্ধ গননার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দুলাল-ফারুক প্যানেল প্রেসক্লাব ত্যাগ করে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এ্যাড. হাসনে ইমাম নয়ন, কমিটির সদস্য এ্যাড. আজিজুর রহমান, মজিবর রহমান শাহ এবং নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে এ্যাডভোকেট শাহজাদা ও এ্যাডভোকেট সারোয়ার রহমান বাবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাতিল ব্যালট গননার মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ হওয়ায় এ্যাডভোকেট সারোয়ার রহমান বাবু প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে ভোট গননাস্থল ত্যাগ করেন।