
হাইকোর্টের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে দিনাজপুর জেলা আহলে হাদিস জামে মসজিদ,এতিমখানা ও মাদরাসার জমিতে অবৈধভাবে ইমরাত নির্মান বন্ধ ও উচ্ছেদের দাবীতে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে মসজিদ কমিটি ও সাধারন মুসল্লীরা।
১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা শহরের ষ্টেশনরোডে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন নামাজি মুসল্লী ,এতিমখানা ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এসময় মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সা:সম্পাদক আফতাব উদ্দীন আহাম্মেদ,কোষাধ্যক্ষ তোজাম্মেল হক,সদস্য রাজিউল কবির মিলু,বদরুল ইসলাম,মুসল্লী ওবাইদুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,হাইকোর্টের নিষেধজ্ঞা উপেক্ষা করে ভুমিদস্যুরা মসজিদের জায়গায় পেশি শক্তির প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি টিনসেডের ভবন নির্মান করেছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তখনও অবৈধ দখল বন্ধে সহযোগীতা চেয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই এবার আমরা ঘোষনা করছি আগামী রবিবারের মধ্যে যদি নির্মিতব্য ইমারত নিজ্ইে সরিয়ে না হয়,তাহলে আগামী সোমবার স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হবে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিলে তার দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। ওয়াকফ জমির উপর মামলা চলমান অবস্থায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবিতে জুম্মার নামাজ শেষে ষ্টেশনরোড এলাকার উভয় সড়কে মানববন্ধনে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লীসহ স্থানীয় শত শত মানুষ অংশগ্রহন করে।
আন্দোলকারিদের অভিযোগ বন্ধকী সম্পত্তি হিসেবে ঋন খেলাপির দ্বায়ে দেউলিয়া আদালতের মাধ্যমে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ জমি সম্প্রতি নিলামে ক্রয় করেছিলেন এ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান। প্রতারনার মাধ্যমে মসজিদের নামে হেবা করা ওই জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋন শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছিলেন জমি দাতার ওয়ারিসরা। আদালতে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই ওই জমিতে স্থাপনা তৈরি করছেন নিলাম গ্রহনকারি। মসজিদ এবং এতিমখানার নামে দান করা ওই জমি ফিরে পাবার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
মানববন্ধন শেষে ন্যায় বিচার ও জমি ফিরে পাওয়ার দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মুসল্লীরা।