বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আইনকে দু’ভাবে ব্যাখা করা যায় উল্লেখ করে বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। মেধা থাকলেই সফলতা পাওয়া যায় না। কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রমি হতে হবে। তিনি আইনকে রক্ষণশীল উল্লেখ করে আরও বলেন, আইন দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ত ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার একটি হাতিয়ার। ঠিক তেমনি মানুষের কল্যানে আইনকে কাজে লাগাতে হবে। আইন ও সংবিধানের শপথকে স্মরণ করে কাজ করতে হলে সততা, মেধা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি দীর্ঘদিনের মামলা গুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচার বিভাগের বিচারক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই মানুষ হয়রানির স্বীকার হবে না। সম্মান পাওয়ার চেয়ে সম্মান রক্ষা করা খুবই কঠিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দায়িত্বের সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। ভাল মানুষ ও শ্রেষ্টত্ব মানুষের কোন শেষ নেই। মানবিক মুল্যবোধকে মানুষের কল্যানে উৎস্বর্গীত করতে হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দিনাজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সম্মেলন লক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে বিচার বিভাগ দিনাজপুরের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ও প্রধান অতিথি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ সব কথা বলেন।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), নারীর ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা দায়রা জজ) শরীফ উদ্দিন আহমেদ, স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহমুদুল করিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিএম তারিকুল কবীর, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম বোরহান-উল-সিদ্দিকী, দিনাজপুর গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কুতুব আল হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা যুগ্ম জেলা জজ এসএম তাসকিনুল হক।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন দিনাজপুর বিচার বিভাগ।