জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের নিয়ে কেউ চিন্তাও করেনি উল্লেখ করে বলেছেন, বিত্তশালীরা যখন অট্টালিকায় আরামে বসবাস করছেন তখন বাংলাদেশের মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। ভুমিহীন ও গৃহহীন একটি পরিবারও নিজস্ব আশ্রয়স্থল ছাড়া বসবাস করবে না। দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের বেচে থাকার অধিকার রয়েছে। তাই সারাদেশ ব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহহীন ও ভুমিহীনদের বাড়ী ও জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষকে সরকার আশ্রয়স্থল দিবেন। এটাই হলো শেখ হাসিনার স্বপ্ন। আজ এ স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। দিনাজপুর জেলাতে ১০৮৬টি পরিবার আশ্রয়স্থল খুজে পেলো। যাচ্ছে নতুন ঠিকানায়। তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশেই প্রথম ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ বাড়ী দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন শেখ হাসিনা। যা ইতিহাসের পাতায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।
২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন। দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও গৃহের সনদ, চাবী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক এসএম খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।
উল্লেখ, দিনাজপুর জেলায় মোট ১০ হাজার ৬১৮টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ নতুন বাড়ী উপহার দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪ হাজার ৭৬৪টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ হাজার ১২৫টি নতুন বাড়ী দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দিনাজপুর জেলায় মোট ২ হাজার ৭২৯টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে নতুন বাড়ী দেয়া হবে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার জেলায় ১ হাজার ৮৫৬টি পরিবারকে নতুন বাড়ী দেয়া হয়। এর মধ্যে গতকাল সদর উপজেলায় ৭০ জন ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সদরে আরও ১৫০জন ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে ঈদের আগে নতুন বাড়ী পেয়ে আনন্দে ভাসছে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। অনেকে বলছেন, এটি তাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। ইতিমধ্যে সাজ সাজ রব চলছে এসব পরিবারের মধ্যে।