নিজেদের নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ যুদ্ধ না থামা পর্যন্ত কোনো খাদ্যশস্য রফতানি করবে না ইউক্রেন বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব অ্যালেক্সি দানিলভ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অ্যালেক্সি দানিলভ একথা বলেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রথম বিষয় হচ্ছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং তার পরের বিষয়টিও ইউক্রেনের নিরাপত্তা। অর্থাৎ ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের ভেতর থেকে কোনো খাদ্যশস্য পৃথিবীর কোথাও যাবে না। কারণ দেশের নিরাপত্তা হচ্ছে আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা’ বলতে সম্ভবত রুশ সামরিক অভিযান বন্ধের কথা বোঝানো হয়েছে।
এদিক ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে খাদ্য সংকট চরম রূপ নিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যদি এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়, তবে এ সংকট কেবল বহু মাস না, বহু বছর স্থায়ী হবে। বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. আংগাউজি আকুঞ্জু-আইওয়েলা এমন তথ্য দিয়েছেন।
বিশ্বে সূর্যমুখী তেলের ৪২ শতাংশ, ভুট্টার ১৬ শতাংশ, বার্লির ১০ শতাংশ ও গমের ৯ শতাংশের সরবরাহ আসে ইউক্রেন থেকে। ডা. আংগাউজি বলেন, যদি ইউক্রেন থেকে এখনই খাদ্যশস্য বের করে নিয়ে আসতে না পারি, তবে জুলাইয়ে আবারও তারা একই পরিমাণের ফসল ঘরে তুলবে, যা অপচয় হয়ে যাবে। তাদের কাছে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য আছে, তা তারা রফতানি করতে পারেনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনি গুতেরেস মন্তব্য করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে । তিনি বলেন, ১১৬ কোটি মানুষ এ যুদ্ধের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানির ওপর যুদ্ধের প্রভাব ব্যাপক, মারাত্মক। সময়ের সঙ্গে এ সংকট আরও তীব্রতর হচ্ছে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪