১১ দফা দাবিতে সড়কে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া শিক্ষার্থীরা আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। প্রথমে পুলিশ তাদেরকে রামপুরায় সড়কে দাঁড়াতেই দেয়নি। পরে তারা আরও শিক্ষার্থী জড়ো করে ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মানবন্ধন করার কথা ছিল। পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যান।
পরে স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে মিছিল করে এসে রামপুরা ব্রিজে মানববন্ধনে দাঁড়ান।
তাদের প্রতিনিধি খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া অভিযোগ করে জানান, সকালেও তারা মানবন্ধনে এসেছিলেন, কিন্তু পুলিশ তখন বাধা দেয়।
‘আমরা ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলাম বলে পুলিশ দাঁড়াতে দেয়নি। এখন আমরা শক্তি বাড়িয়ে এসে কর্মসূচি পালন করছি। যত বাধা আসুক, মৃত্যু ঝুঁকি থাকলেও দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
শিক্ষার্থীদের সড়কে দাঁড়াতে না দেওয়ার বিষয়ে রামপুরা থানা পুলিশ বলছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে লোকজন এসে এখানে শৃঙ্খলার নষ্ট করতে পারে—এমন আশঙ্কা আছে। তাই এখানে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত সোমবার রামপুরায় অনাবিল পরিবহণের একটি বাসের চাপায় এসএসসি শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন (১৭) নিহত হয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে রামপুরাবাজার ও টিভি সেন্টারের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংকের সামনে ডিআইটি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ১২টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। গণপিটুনিতে বাসচালক জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চালকের সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত মাঈনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেছা স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪