কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে এক জেলের জালেই এ সপ্তাহে এক দিনে আটকা পড়েছে প্রায় তিনশ মন মাছ, যা নিয়ে তোলপাড় চলছে এলাকাজুড়ে। ওই জালের মাছ ধরার দৃশ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেখানে দেখা যাচ্ছে জেলেরা ঘিরে ধরে জাল তুলছেন আর তার ভিতরে লাফালাফি করছে অসংখ্য মাছ।
ওই এলাকার উপকূলে নিয়মিত মাছ ধরেন এমন কয়েকজন জেলে বলছেন, গত কিছুদিন ধরেই মাছ থেকে ৪০/৫০ হাজার থেকে এক বা দেড় লাখ মাছ আটকা পড়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা বলছেন, এক জালেই কখনও কখনও ৫/৬ লাখ টাকার মাছ ধরা পড়ছে গত কিছুদিন ধরে।
ওই এলাকার জেলে শাহ আলম বলছেন, উপকূলের কাছে টানা জালে একবারে এ ধরনের বেশি পরিমাণে মাছ ধরার পড়ার ঘটনা গত কিছুদিনে বেশ কয়েকবার ঘটছে। আরেকজন জেলে কাসেম মাঝি বলছেন, বেশ কয়েকজন জেলের জালে এভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়েছে যাকে তারা নিতান্তই ভাগ্য বলে মনে করছেন।
কোন কোন মাছ বেশি ধরা পড়ছে জেলেরা বলছেন চিংড়ি, রূপচাঁদা, কালো পোয়া, সাদা পোয়া, ছোট পোয়া, ছোট পারশে, বড় পারশে, মলা, ছুরি, বাটার মতো মাছই বেশি ধরা পড়ছে। কাসেম মাঝি বলছেন, মাছ তীরে আনার পরপর সেখানেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে পাইকারি ক্রেতাদের কাছে। আবার তারা কিছু মাছ কাঁচাবাজারে নেন আর কিছু মাছ শুঁটকির জন্য পাঠিয়ে দেন শুঁটকি মহালে।
তিনি অবশ্য বলছেন, সব জেলের জালেই মাছ ধরা পড়ছে এমনটি নয়। কোনও কোনও জেলের জালে এমন অবিশ্বাস্য পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে বলেই এটি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। শাহ আলম বলছেন, এমনিতেও এবার উপকূলে এ ধরনের মাছের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে কিছুটা বেশিই পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে তার কাছে।
আর তার প্রভাব পড়েছে বাজারেও। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম হয়ে রাজধানী ঢাকার বাজারেও এ ধরনের মাছের সরবরাহ বেড়েছে। চট্টগ্রামের অধিবাসী পারভীন হাসান বলছেন, সেখানকার বাজারে এসব মাছের দামও কিছু কম বলে মনে হচ্ছে তার কাছে। তবে ঢাকায় দামের ক্ষেত্রে খুব একটা হেরফের দেখা যায় না।
“এক হাজার টাকা কেজি নিল। মাছ যদি বেশি ধরাই পড়ে তার সুফল আমরা পাই না কেন জানি না। তবে বাজারে সামুদ্রিক মাছ কিন্তু দেখছি প্রচুর,” বলেন তিনি।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪