লিচুগাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন কচি পাতা। এ পরিস্থিতিতে হতাশ দিনাজপুরের লিচুবাগান মালিক ও মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীরা।
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মুকুলের পরিবর্তে কচি পাতা মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে দিনাজপুরের লিচুবাগানে।
দেশজুড়ে খ্যাতি দিনাজপুরের সুস্বাদু লিচুর । এই জেলায় চাষ হয় বেদানা, চায়না থ্রি, চায়না টু, বোম্বাই, মাদ্রাজি, হাড়িয়া ও কাঁঠালি জাতের লিচু। কিন্তু এবার লিচুর ফলনের আংশিক বিপর্যয়ের আশঙ্কো করছেন বাগানমালিক ও উদ্ভিদবিদরা। কারণ, লিচুগাছে মুকুলের পরিবর্তে তামাটে রঙের কচি পাতা ছাড়ছে।
যথারীতি মাঘ মাসের শেষ থেকে লিচুগাছে মুকুল আসতে শুরু করে। ফাল্গুনের মাঝামাঝি বাগানগুলোতে লিচুর মুকুল থেকে কুঁড়ি আসা শুরু হয়। আর চৈত্রের শুরুতে কুঁড়ি থেকে ফুটবে গুটি লিচু। সবুজ গুটি থেকে থোকা থোকা, বৈশাখের মাঝামাঝি টকটকে লাল রঙে রাঙাবে। জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছগুলোতে ঝুলে থাকবে থোকায় থোকায় পাকা লিচু। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। এটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীদের।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উদ্ভিদবিদ মোসাদ্দেক হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সুস্পষ্ট। পুষ্প দণ্ড বা মঞ্জুরি দণ্ড কচি পাতা থেকে বের হওয়ার সক্ষমতা থাকে না। কচি পাতা বের হওয়ার জন্য দায়ী অসময়ে বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ ও গ্রীষ্ম-শীতের মিশ্র প্রভাব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
প্রকৃতির নিয়মেই কচি পাতা ছাড়ছে। এতে ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না।’