রাজশাহীর তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হারুনুর রশীদের প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এ ঘটনায় বুধবার জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে লাইনে ক্লোজ করে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
এদিকে এএসআই হারুনকে তাহেরপুর ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহারের পর ভুক্তভোগী এলাকাবাসী তার অপকর্মের কথা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
এএসআই হারুনের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আটকবাণিজ্য ও মাদকবাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার অনেক কাহিনী বের হয়ে আসছে। তবে টাকা গুণে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি লকডাউন সময়ের বলে জানা গেছে।
লকডাউনে দোকানপাট খুললেই এএসআই হারুন দোকানদারদের কাছ থেকে ঘুষ নিতো। তবে এএসআই হারুণ অবশ্য এ নিয়ে এখন কথা বলতে নাকজ করেছেন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, লকডাউনের সময়ে বাগমারার সাজুড়িয়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী লেদ আজাদকে হেরোইন ও ইয়াবাসহ আটক করে এএসআই হারুন মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। সুবদের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী সনাতন দাসকে মাদকসহ আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন এবং আটক করানগাঁজা হারুন আরেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন
এলাকাবাসীরা অভিযোগে আরও জানান, তাহেরপুরের পার্শবর্তী পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের ইমন নামে এক ছাত্রকে ১০টি ইয়াবা দিয়ে সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা টাকা নিয়েছিলেন হারুন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, এএসআই হারুণের মূল কাজই ছিল দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করা আর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।
এদিকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লকডাউনের সময় তাহেরপুর বাজারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন হারুন। সিগারেট মুখে রেখে সে দোকানদারের সঙ্গে দরদারের পর দুই হাজার টাকা ঠিক হয়। পরে টাকা গুণে দেখে সে আরও এক হাজার টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা নিয়েই সে এক পর্যায়ে দোকান থেকে চলে যায় ।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, বিষয়টি নজরে আসার পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাহেরপুর ফাঁড়ি থেকে এএসআই হারুনকে লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে এবং তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪