মো:রিপন মিয়া
গাজীপুর প্রতিনিধি
আজ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এ চাল বিক্রি হবে। এ কর্মসূচির আওতায় আগে ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল পাওয়া যেত। গত বাজেটে এর দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা কেজি করা হয়।
এতে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করা যায়। দেশজুড়ে ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। তাঁরা প্রতিদিন দুই টন করে চাল বিক্রি করবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে। এ কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবে বলে জানাযায়।
গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটা ইউনিয়নের সকল ডিলারকে এক যুগে চাল দেওয়া হয়ে গেছে, এখন সবাই সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করবে।বিক্রয়কৃত চাল অনেকেই বাজারের দোকানে বিক্রি করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাই পরবর্তীতে এমন লোকদের কে বাতিল করে নতুন করে কিছু দরিদ্র লোক নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর।
গাজীপুর ইউপি ৮ং ওয়ার্ড সদস্য ও গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি, নূরে আলম মাতাব্বর জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হয়। আমি মনে করি, চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা মানুষের জন্যই মজুত করি। যাঁরা এ চাল নেবেন, তাঁদের বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি। আমাদের ইউনিয়নের জন্য সৎ ও যোগ্য, ৬ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসা করছি কোন ধরনের কারচুপি হবে না। সবাই সুষ্ঠুভাবে চাল পাবে।
আগে যে ডিলার গুলা ছিল তারা অনেকেই নানাবিদ সমস্যা দেখিয়ে হতদরিদ্রের চাল ঠিকমতো বিতরণ করেছেনা এমন কিছু তথ্য পেয়েছি চাল কিনতে আসা গ্রাহকদের কাছে। তার কাছে আরো জানা যাই এমন লোক আছে এখান থেকে ১৫ টাকা দরে চাল ক্রয় করে, তা বাজার দোকানে বিক্রি করে দেয়।তাদের কয়েকজনের ব্যাপারে আমরা যাচাই করছি। সঠিক তথ্য পেলে তাদের বাতিল করে, নতুন কিছু অসহায় পরিবারকে এই চাল পাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই।
আমি আরো মনে করি, আমাদের অঞ্চলের প্রত্যেকটা ডিলার, জনবান্ধব ও জনগণের একনিষ্ঠা সেবক। তাদের এই কাল চুরি করে বিক্রি করার মত কোন আগ্রহ আমি দেখছি না, তারা প্রত্যেকেই সচ্ছল।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবে সব সময় জনগনের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি সব সময়, আমার ভোটারদের সেবা করে থাকি, সরকারি ত্রাণ থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে তাদেরকে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা রয়েছে।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল সালাম জানান, পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে মাথায় রেখে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে খাদ্য অধিদপ্তর। কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসরত বিধবা, বয়স্ক, পরিবারপ্রধান নারী, নিম্ন আয়ের দুস্থ পরিবার প্রধানদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য একটি তালিকা রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী কার্ড দেখে সুষ্ঠ ভাবে আমাদের ডিলারা চাল বিতরণ করবেন।
চাল নিতে এসে খুবি সাচ্ছন্দ্য ও প্রফুল্ল হয়ে সকলেই নিচ্ছে। শ্রীপুর উপজেলার প্রত্যেকটি অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, বিগত দিনে অনেক কার ছবি হয়েছে যা বর্তমানে কোন সম্ভাবনা নেই।প্রত্যেকটা চালের ডিলার, সকলের কার্ড, তালিকার ছবি, ভোটার আইডি কার্ড সহ করল কিছু পর্যবেক্ষণ করে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করছে।