মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার,(দিনাজপুর)
দিনাজপুর জেলার ফুল বাড়ি উপজেলাতে ২১০ রাউন্ড গুলিসহ ১৭টি আগ্নে অস্ত্র জমা দেওয়াসহ ২টি হেফাজতে রাখা হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে বিভিন্ন জেলাতে অস্ত্র লুটের ঘটনা ঞটে। যেহেতু এগুলো সরকারি সম্পত্তি সেহেতু সরকার গুরুত্তের সাথে অস্ত্রগুলো উদ্ধারে চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তালিকাভুক্ত ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে পিস্তলসহ ১৭টি বিভিন্ন অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি ২টি অস্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক হেফাজতে রয়েছে। সেই সাথে ২১০ রাউন্ড গুলি জমা পড়েছে। এসব অস্ত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান। ফুলবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে।
ফুলবাড়ীতে তালিকাভুক্ত অস্ত্রের সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে ১৩টি একনলা বন্দুক, দুইটি দুইনলা বন্দুক, তিনটি শর্ট গান ও একটি পিস্তল। তার মধ্যে ১৭টি ব্যক্তিগত ও ২টি প্রাতষ্ঠানিক। বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১৬টি ফুলবাড়ী থানায় জমা পড়েছে, ১টি শর্টগান দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় জমা পড়েছে। অবশিষ্ট ১টি শর্টগান এবং ১টি দুইনলা বন্দুক পুবালী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে নিরাপত্তার কাজে প্রাতিষ্ঠানিক হেফাজতে রয়েছে।
সেই সাথে এক নলা বন্দুকের ১১৬টি গুলি, দুই নলা বন্দুকের ১২টি গুলি, শর্টগানের ৩৫টি গুলি ও পিস্তলের ৪৭টি গুলিসহ মোট ২১০ রাউন্ড গুলি জমা পড়েছে। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে যৌথ অভিযান শুরুর খবরে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল। একাধিক সুধীজন বলেন, এতদিন বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হয়েছে।
অবৈধকাজে যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। ফুলবাড়ী থানার (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ১৯টি অস্ত্রের মধ্যে ১৭টি অস্ত্র এবং ২১০রাউন্ড গুলি জমা হয়েছে, অবশিষ্ট ২টি অস্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক হেফাজতে রয়েছে। এর বাহিরে যদি কোন অবৈধ অস্ত্র থাকে তা উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।