রাজশাহীতে যুবদলের মশক নিধন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
সারাদেশে রাজশাহী গ্রীন সিটি, ক্লীন সিটি নামে পরিচিত, কিন্তু বর্তমানে সেটি পিছিয়ে পড়েছে। নগরীতে ডেঙ্গুর উৎপাত বাড়ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাঁচ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের দোসররা পালিয়ে রয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অনেক দুর্নীতিবাজ কাউন্সিলার ও কর্মচারীরা লুকিয়ে রয়েছে। ফলে নগরীর অনেক কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই ঘাটতি পূরণের জন্য যুবদলসহ বিএনপির সমস্ত অঙ্গ সংগঠন মাঠে নেমেছে। যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবির নেতৃত্বে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলি একত্রে মশক নিধন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে।
চার অক্টোবর, শুক্রবার, বিকাল তিনটায় জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্সে পরিস্কার ও মশক নিধন কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় টেনিস কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও আগামীর ভবিষ্যৎ ক্ষুদে খেলোয়াড়রা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে দাবি নিয়ে হাজির হয়।
খেলোয়াড়রা বলেন, আমাদের এই টেনিস কমপ্লেক্সের নাম প্রথম থেকেই জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স ছিল। সেটি জোর করে ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজন দুই হাজার একুশ সালে নাম পরিবর্তন করে তাদের দলের দুর্নীতিবাজ নেতার নামে রেখেছে। আমরা চাই এডভোকেট আব্দুস সালাম নয়, জাফর ইমাম নাম পুনরায় রাখা হোক। আমাদের যেন টেনিস লীগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। ক্ষুদে খেলোয়াড়দের সব দাবির প্রতি একমত পোষণ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি খেলোয়াড় ও রাজশাহীবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দাবি অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপনারা এসব নিয়ে চিন্তা না করে খেলায় মন দিন। আপনাদের যা যা প্রয়োজন, সেগুলি আমরা আলোচনা করে একে একে পূরণ করব। আপনারা যেন ডেঙ্গুর শিকার না হন, সেজন্যই আমাদের এখানে আসা। আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে এবং ওষুধ ছিটায়, কিন্তু বাসার ভিতরে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, খোলা পাত্র বা ছাদে পানি জমে থাকলে তা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আপনাদের।
এরপর, নেতাকর্মীরা নগরীর পদ্মার পাড়ে উপস্থিত হয়ে সেখানকার ব্যবসায়ীদের বলেন, এটা একটি সুন্দর জায়গা যেখানে রাজশাহীর সহ অন্যান্য জেলার মানুষ ঘুরতে আসে। পরিষ্কার রাখা আমাদেরই দায়িত্ব। আর যদি কেউ চাঁদা দাবি করে, আমাদের জানাবেন। আমরা আজ কিছু গাছ রোপণ করব, সেগুলির যত্ন আপনাদের নিতে হবে। এরপর দোকানদারদের ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ি উপহার দেওয়া হয়।
সমস্ত কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা শ্রীরামপুর শিব মন্দির পরিদর্শন করেন। দূর্গা পূজা সম্পর্কে তারা আশ্বাস দেন যে, মন্দিরগুলির দায়িত্ব তারা নিজেরাই দেখভাল করবেন। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ ভাই ভাই হিসেবে চলাফেরা করেছে, এবং ভবিষ্যতেও করবে। কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে, সেগুলিতে কান না দিয়ে আমরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাব।
