ময়মনসিংহ সদরের চর হাসাদিয়া গ্রামে পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক মেশানো দই খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মামাতো ভাই জাকারিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক জাকারিয়া। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি নির্যাতিতার প্রাথমিক সাক্ষগ্রহণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীর।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী মামাতো ভাই জাকারিয়া চারটি দই নিয়ে ওই কিশোরী, তার ছোট বোন ও তাদের নানীকে খেতে দেয়। দই খাওয়ার পরপরই একে একে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় অচেতন কিশোরীকে ধর্ষণ করে জাকারিয়া। নির্যাতিতা কিশোরী জানান, অচেতন হওয়ার আগে জাকারিয়াকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে দেখেন তিনি। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করার পর সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয় তার। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি নির্যাতিতা ও তার স্বজনদের।
এদিকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই তাদের অজ্ঞান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জড়িতদের কঠোর শাস্তি চান তারা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ধর্ষণ প্রতিরোধ টিমের সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ এবং নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে জাকারিয়া পলাতক।
মডেল থানার পরিদর্শক ও ধর্ষণ প্রতিরোধ টিমের প্রধান মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা মেয়ের পরনের পোশাক নিয়ে যাচ্ছি। ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয় আছে কিনা তা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখব। মা মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেলে দুই বোনের আশ্রয় হয় নানীর কাছে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে নির্যাতিতা কিশোরী।