বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের রায় আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে। বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন। গত ১৪ অক্টোবর আসামিদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের এদিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা দায়রা ও জজ মো. আছাদুজ্জামান। ১০ আসামির মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৪ অক্টোবর রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা আদালতে যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছি, তার ভিত্তিতে আমরা এ হত্যাকাণ্ডে আসামিরা জড়িত বলে প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা আশা করি সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা আদালতে যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছি, তাতে আশা করি আমার মক্কেলরা নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ছিলেন এ মামলার প্রধান সাক্ষী। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ১ সেপ্টেম্বর মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।