
চীনের একদল বিজ্ঞানীরা দাবি করেছে যে, প্রথম মানুষ থেকে মানষে করোনায় সংক্রমন ঘটেছে বাংলাদেশ আর ভারতে থেকে।
“চীনের উহানে প্রথমে সংক্রমণ হয়নি” এই কথা চিনের তিন বিজ্ঞানী বলেছেন। এই কথা শোনার পর গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান বলছে, “উহানের দোষ এখন বাংলাদেশ বা ভারতের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে”।
গত বছর থেকে উহান শহর করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়, তারপর ধীরে ধীরে চীনের প্রতিবেশি দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়। এবং এক সময় তা মহামারি আকার ধারণ করে সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে পরে। আর বাংলাদেশে প্রথম রুগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ।
এরই মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীদের দাবিকে পুরোপুরি অনুমাননিকন দাবি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তহমিনা শিরিন জানান যে, ‘দেশে জিন বিশ্লেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যায়, এই ভাইরাস বাংলাদেশে অন্য দেশ থেকে এসেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম জিন বিশ্লেষক সমীর সাহা। তিনি প্রথম আলোকেই বলেন, “চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি— এমন কথা বলা আমাদের জন্য একেবারে অনুমাননির্ভর হবে”।
চীনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবচেয়ে কম রূপান্তর ঘটেছে, এমন স্ট্রেইন করোনাভাইরাসের তারাই আদি ভাইরাস। আর, সবথেকে কম রূপান্তর ঘটেছে, এমন করোনাভাইরাসের জিন পাওয়া গেছে শুধু বাংলাদেশ ও ভারতে। এই দুই দেশের ভাইরাসের রূপান্তরের ক্ষমতা কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ জন।
চীনের বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই করোনাভাইরাস এর ব্যাপাররে আরো অনেক রহস্য আছে। কোন প্রাণী এই ভাইরাস বহন হচ্ছে, তা না জানা গেলে এই করোনাভাইরাস এর উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
আমাদের ফেইসবুক পেজঃ ট্রাস্ট নিউজ ২৪