গত ২৪ ঘণ্টায় সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। একই সময়ে নতুন করে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই বৈশ্বিক মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ১৭ লাখ সাড়ে ২৩ হাজার ছাড়াল। সরকারি হিসেবে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ কোটি সাড়ে ৮৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার’র তথ্য মতে, ২৩ ডিসেম্বর, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৭১ জন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিপরীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ কোটি ৫১ লাখ ২১ হাজার ৯৮২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার ১৫ জন করোনারোগী, যাদের মধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৯ হাজার ৩০৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ লাখ ২০ হাজার ২০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড-১৯। এছাড়া রাশিয়ায় চতুর্থ সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৬ হাজার ৫০৩ জন ও ফ্রান্সে পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হলো—যুক্তরাজ্য (২১ লাখ ১০ হাজার ৩১৪ জন), তুরস্ক (২০ লাখ ৬২ হাজার ৯৬০ জন), ইতালি (১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৭০ জন), স্পেন (১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৪ জন) ও জার্মানি (১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬১১ জন)।
করোনার সূচনা :
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল।
মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী করোনায় শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪